চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর চান না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এমনকি অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোরও বিপক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান তিনি।
সারজিস আলম ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ৩৫ কিংবা ৬৫, কোনোটাই যৌক্তিক না। ৩২ এবং ৬০ নিয়ে ভাবা যেতে পারে ৷
সারজিসের এই পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নেটিজেনরা। হামিদুর রহমান লিখেছেন, ৩৫/৩২ করলে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়বে কিন্তু চাকুরীর আসন সংখ্যা তো বাড়বে না। তাই বয়স না বাড়িয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করে ২০/২২ বছরের মধ্যে পড়ালেখা শেষ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
মো. আনিদুল ইসলাম লিখেছেন, ভাই, করোনা কালীন সময়ে ২ বছর নষ্ট হইছে। পরবর্তীতে সার্কুলার অনেক কম আসছে। তাছাড়া বিগত স্বৈরাচারের আমলে অনেকে অসংখ্য ভাইবা দিয়েও জব পান নি। তাঁদের জন্য হলেও ৩৫ করা হোক আর অবসরে ৬০ ঠিক আছে। তাঁরা তো আর চাকরি চাচ্ছে না একটা সুযোগ চাচ্ছে মাত্র। বহিঃর্বিশ্বের সাথে তাল মিলে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এটার একটা যৌক্তিক সমাধান হোক। আশা করি পাশে থাকবেন ভাই।
ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক লিখেছেন, চাকরির বয়স ৩০ থাকার কারণে অনেকেই অনার্স ১ ম বর্ষ থেকে একাডেমিক পড়ার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে সরকারি চাকরির পড়া পড়তে থাকে।এতে একাডেমিক পড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এজন্যই আমাদের দেশের শিক্ষার মান অন্য যে কোন দেশের তুলনায় নিম্নমানের।তাছাড়া যাদের বয়স কম তারা এটার বিরোধিতা করবে কিন্তু এদের অনেকেই যখন চাকরি পাবে না তখন তারা আবার বয়স বৃদ্ধির আবেদন জানাবে।
হাবিবুর রহমান লিখেছেন, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট আমরাই (জনগণ) তৈরি করি। সুতরাং বয়স সীমা রাখাই উচিত না। আর রাখতে চাইলেও ৩৫-৬৫ যুক্তিসংগত মনে করি। আর পাশাপাশি উপযুক্ত বয়স হলেই বিয়ের বিষয়টা রাষ্ট্রীয়ভাবে সহজ করা উচিত।
হুমায়ুন কবির লিখেছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকলে বয়স ৩৫ না ৪০ করলেও বেকারত্ব কমবে না বলে মনে করি! সরকারি চাকরিতে ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দিলে অধিকাংশ মানুষের সরকারি চাকরির প্রতি অনিহা চলে আসবে, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য মনোযোগী হবে!
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor